ইউপিল্যাক সচল হলে কি লাভ হবে?
কমিটি এ্যাকটিভ করার দায়িত্ব কাদের ?
ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন নীতিমালাঃ
ইউনিয়ন কমিটি গঠন, ইত্যাদি- (১) প্রত্যেক ইউনিয়নে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার একটি কমিটি থাকিবে এবং নিন্মবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে উহা গঠিত হইবে, যথা-
১. ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, যিনি উহার চেয়ারম্যান;
২. ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের তিনজন মহিলা সদস্য;
৩. ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনিত ইউনিয়ন পরিষদের তিনজন সদস্য;
৪. ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনিত ইউনিয়নে সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন মহিলা শিক্ষক;
৫. ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনিত আনসার ও ভিডিপির একজন মহিলা সদস্য।
৬. ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনিত ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত বাজার কমিটি’র সভাপতি বা একজন ব্যাবসায়ী;
৭. ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ইউনিয়ন এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে এমন বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যদি থাকে এর একজন প্রতিনিধি;
৮. জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনিত একজন প্রতিনিধি;
৯. ইউনিয়ন এলাকার মধ্যে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা;
১০. ইউনিয়ন এলাকার মধ্যে কর্মরত একজন ফ্যামিলি ওয়েল ফেয়ার ভিজিটর;
১১. ইউনিয়ন পরিষদ সচিব যিনি ইহার সদস্য-সচিব হবেন;
সদস্যপদ মেয়াদ:
কমিটির মনোনীত সদস্য গণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে ৩ বৎসরের মেয়াদে স্থায়ী পদে বহাল থাকিবেন।
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই মনোনয়ন কারী কর্তৃপক্ষ কোন কারণ না দর্শাইয়া কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারেন।
ইউপিল্যাক এর দায়িত্ব ও কার্যাবলীঃ
১. নিয়মিত দ্বি-মাসিক সভা করা;
২. সংস্থ্যা কর্তৃক নিরুপিত যোগ্যাতা ও প্রণীত নীতিমালা অনুসারে আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহয়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ- সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচার প্রার্থীগণের আবেদন বা দরখাস্ত সংগ্রহ বা গ্রহণ এবং উহাদ্রুত জেলা কমিটির নিকট প্রেরণ;
৩. অভিযোগ রেজিস্টার পুরণ ও রক্ষনাবেক্ষন;
৪. ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রস্তুত ও ডিল্যাকে প্রেরণ;
৫. জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন;
সভা কিভাবে অনুষ্ঠিত হবেঃ
১. ইউনিয়ন কমিটির সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে;
২. কমিটির চেয়ারম্যান উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন;
৩. কমিটির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মূলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না।
৪. শুধুমাত্র কোন সদস্য পদের শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবেনা এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস